নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
করোনা (কভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সুনির্দিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানেই আইসিইউএর ব্যবস্থা হচ্ছে। কুমেক হাসপাতালের রোগীদের কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে গাইনী, ক্যাজুয়েলটি ও বহি: বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। অন্য বিভাগের রোগীদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে সরকারি নিয়মে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সিভিল সার্জন অফিস এসব রোগীদের রেফার করবেন। সে রোগীরা সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারবেন। ফলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন সেন্টার আর হচ্ছে না। প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে কোন করোনা আক্রান্ত রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া হবে না।
আর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের জনগণের নমুনা সংগ্রহ সিটি করপোরেশনই করবে। তাদেরকে ২জন টেকনোলজিষ্ট দিয়ে সহায়তা করবে সিভিল সার্জন অফিস।
২০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, বিএমএ, স্বাচিপ ও প্রাইভেট ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহার। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর ।
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো: নিয়াতুজ্জামান, বিএমএ ও স্বাচিপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।